চিয়া সিডের উপকারিতা:
চিয়া সিড হলো এক শক্তিশালী পুষ্টিবস্তুর ভান্ডার, যা দেহের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত চিয়া সিড গ্রহণে যে উপকারগুলো পাওয়া যায়:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এতে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের কোষকে সুরক্ষা দেয় এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।
- উচ্চমাত্রার প্রোটিন: চিয়া সিডে মুরগির ডিমের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি প্রোটিন থাকে, যা পেশি গঠনে ও শরীরের গঠন বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।
- হাড়কে করে মজবুত: এতে দুধের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড় ও দাঁতের গঠন শক্তিশালী করে।
- ওমেগা-৩ এর দারুণ উৎস: গবেষণা অনুযায়ী, স্যালমন মাছের চেয়ে প্রায় ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে এতে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
- রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে: চিয়া সিড রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।
- ডিটক্সে সহায়ক: এটি হজমশক্তি বাড়ায়, গ্যাস ও পেটের অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে।
- ঘুমের মান উন্নত করে: চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ মানসিক প্রশান্তি এনে ভালো ঘুমে সহায়তা করে।
- ত্বক, চুল ও নখের যত্নে: এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে করে উজ্জ্বল, চুলকে করে মজবুত এবং নখ রাখে স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক উপায়
চিয়া সিডের নিজস্ব কোনো স্বাদ না থাকায় এটি সহজেই যেকোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়। তবে এর সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।
- ভিজিয়ে খাওয়া উত্তম: চিয়া সিড খাওয়ার আগে অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত। এতে সিডগুলো ফুলে ওঠে এবং শরীরে সহজে হজম হয়। চিয়া সিড সহজেই মেশানো যায় – সালাদ, স্মুদি, কাস্টার্ড, ওটস, ফ্রুট জুস বা ডিটক্স পানীয়।
- ওজন কমাতে বিশেষ উপায়: যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য সকালের খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে নিচের মিশ্রণটি বেশ কার্যকর: ১ গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি হজমশক্তি বাড়াতে, পেট পরিষ্কার রাখতে ও মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করে।